বিশ্ব ইজতেমা, মুসলিম বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় জমায়েত, আগামী বছর আবারো দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তাবলিগ জামাতের এই বিশেষ অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হবে ২০২৫ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে, বাংলাদেশে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে। এতে অংশ নিতে প্রতি বছর লাখো মুসলিম ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি দেশ-বিদেশ থেকে সমবেত হন। এবার ইজতেমার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে এবং সবার জন্য বিভিন্ন বিশেষ আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
২০২৫ সালের ইজতেমার নির্ধারিত তারিখ
ইজতেমা দুটি পর্বে বিভক্ত করা হয়েছে, যা মুসল্লিদের সুবিধার্থে বিশেষভাবে সহায়ক হবে। ঘোষিত তারিখগুলো হলো:
- প্রথম পর্ব: ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত।
- দ্বিতীয় পর্ব: ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত।
প্রথম পর্বে তাবলিগ জামাতের জোবায়েরপন্থী এবং দ্বিতীয় পর্বে সাদপন্থীরা ইজতেমায় অংশগ্রহণ করবেন।
এবারের ইজতেমার বিশেষ আয়োজন
প্রতি বছরের মতো এবারও ইজতেমার আয়োজন অত্যন্ত বৃহৎ পরিসরে ও নতুনত্বের সঙ্গে করা হচ্ছে। এখানে বিশেষ কিছু আয়োজনের কথা উল্লেখ করা হলো:
- নিরাপত্তা ব্যবস্থা: অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
- যাতায়াতের সুবিধা: তুরাগ নদীর পাশে ভাসমান ব্রিজ নির্মাণ ও গণপরিবহনের ব্যবস্থা থাকবে, যা মুসল্লিদের যাতায়াত সহজ করবে।
- স্বাস্থ্যসেবা ও বিশুদ্ধ খাবার: আগত মুসল্লিদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা ও সুপেয় খাবার সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।
- বিদেশি মুসল্লিদের জন্য ভিসা সহায়তা: বৈধভাবে ভিসা প্রদানের জন্য বিশেষ সহায়তা ব্যবস্থা করা হচ্ছে, যাতে বিদেশি মুসল্লিরা ইজতেমায় অংশ নিতে পারেন।
ইজতেমার ইতিহাস ও গুরুত্ব
১৯৬৭ সালে শুরু হওয়া এই ইজতেমা বিশ্বের অন্যতম বড় জমায়েত হিসেবে বিবেচিত, যেখানে ধর্মীয় শিক্ষা, দোয়া, এবং মানবকল্যাণের বার্তা প্রচার করা হয়। গত কয়েক বছর ধরে তাবলিগ জামাতের বিভাজনের কারণে ইজতেমা দুটি পর্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যা এবারও একইভাবে আয়োজন করা হচ্ছে।
বিশ্ব ইজতেমা শুধু ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান নয়, এটি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মুসলিমদের একত্রিত হওয়ার মিলনস্থল, যেখানে তারা পরস্পরের সঙ্গে ভাব বিনিময় করেন এবং ইসলামের শিক্ষা প্রসারে ব্রতী হন।