বাংলাদেশের সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুকে হঠাৎ গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। ৬ নভেম্বর ধানমন্ডি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে, গ্রেপ্তারের কারণ হিসেবে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলাও রয়েছে, যার মধ্যে কিছু মামলা জাতীয় স্তরে আলোচিত।
রাজনৈতিক পট পরিবর্তন এবং ব্যাংক হিসাব জব্দ
আগামী ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে আমির হোসেন আমু একাধিক বিতর্কে জড়িয়েছেন। ১৮ আগস্ট বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) তার ব্যাংক হিসাব জব্দ করে এবং তার পরিবারের সদস্যদের ব্যবসায়িক লেনদেনও স্থগিত করা হয়। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে, আমু ঝালকাঠিতে একটি শক্তিশালী গোষ্ঠী গড়ে তোলেন, যা স্থানীয় ঠিকাদারি, নিয়োগ এবং নির্বাচনী মনোনয়ন নিয়ন্ত্রণ করত।
ঝালকাঠির গডফাদার হিসেবে পরিচিতি
আমির হোসেন আমু, যিনি ঝালকাঠি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য, ছিলেন এই এলাকার এক প্রভাবশালী নেতা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি স্থানীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে গডফাদার হিসাবে পরিচিতি অর্জন করেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি স্থানীয় ব্যবসা ও ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণে রেখেছিলেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি শিল্পমন্ত্রীর দায়িত্ব পান এবং সেই সময়ে তার ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পায়।
গ্রেপ্তারের প্রেক্ষাপট
গ্রেপ্তারের পর, ডিবি পুলিশ আমির হোসেন আমুর বিরুদ্ধে তদন্ত চালানোর ঘোষণা দিয়েছে। জানা গেছে, তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে এবং রিমান্ডের আবেদন করা হবে।