মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত একজন আইরিশ মডেল, বৈমানিক এবং সাহসী সমাজকর্মী। তার জীবনের নানা দিক শুধু চমকপ্রদ নয়, অনুপ্রেরণাদায়কও। এখানে তার জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরা হলো:
বিষয়বস্তু
- মাকসুদা আক্তার প্রিয়তির চমকপ্রদ গল্প
- ১. মিস আয়ারল্যান্ড খেতাব জয় (২০১৪)
- ২. ৭৪তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে টপ মডেল পুরস্কার
- ৩. বৈমানিক হিসেবে তার সাফল্য
- ৪. আইরিশ টেলিভিশন ও ফিল্ম একাডেমির সদস্য
- ৫. #MeToo আন্দোলনে ভূমিকা
- ৬. সাহসী ফটোশুট এবং বিতর্ক
- ৭. তৃতীয় সন্তানের মা হওয়া
- ৮. পুরস্কার এবং সম্মাননা
- ৯. লেখক হিসেবে সফলতা
- ১০. সমাজে প্রভাব এবং আইডল হওয়া
মাকসুদা আক্তার প্রিয়তির চমকপ্রদ গল্প
১. মিস আয়ারল্যান্ড খেতাব জয় (২০১৪)
তিনি ২০১৪ সালে মিস আয়ারল্যান্ড খেতাব জয় করেন, যা তার জীবনের বড় মাইলফলক।
২. ৭৪তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে টপ মডেল পুরস্কার
কান উৎসবে “টপ মডেল” খেতাব জয় করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সাড়া ফেলেন।
৩. বৈমানিক হিসেবে তার সাফল্য
তিনি একজন লাইসেন্সপ্রাপ্ত বৈমানিক এবং আইরিশ ন্যাশনাল ফ্লাইট সেন্টারে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
৪. আইরিশ টেলিভিশন ও ফিল্ম একাডেমির সদস্য
তার প্রতিভার স্বীকৃতি হিসেবে তিনি আইরিশ টেলিভিশন ও ফিল্ম একাডেমির সদস্যপদ অর্জন করেন।
৫. #MeToo আন্দোলনে ভূমিকা
বাংলাদেশে #MeToo আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন এবং সাহসিকতার জন্য প্রশংসিত হয়েছেন।
৬. সাহসী ফটোশুট এবং বিতর্ক
বিকিনি এবং নগ্ন ফটোশুটের মাধ্যমে তিনি সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। এটি একদিকে যেমন প্রশংসা অর্জন করেছে, অন্যদিকে সমালোচনার মুখেও পড়েছেন।
৭. তৃতীয় সন্তানের মা হওয়া
২০২৩ সালের আগস্টে তিনি তৃতীয় সন্তানের মা হন এবং তার পরিবারের নতুন সদস্য লাভিশা লামের জন্ম হয়।
৮. পুরস্কার এবং সম্মাননা
- মিস আর্থ আয়ারল্যান্ড (২০১৫)
- আইরিশ মডেল অফ দ্য ইয়ার
- লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট পুরস্কার (২০২৩)
৯. লেখক হিসেবে সফলতা
তিনি “প্রিয়তীর মন্ত্র” নামে একটি বই প্রকাশ করেছেন, যা তার অনুপ্রেরণামূলক জীবনের প্রতিচ্ছবি।
১০. সমাজে প্রভাব এবং আইডল হওয়া
তার সাহসিকতা এবং আত্মপ্রত্যয় শোবিজ ও সমাজে অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা।
মাকসুদা আক্তার প্রিয়তির জীবন কেবল তার সাফল্যের কাহিনী নয়, বরং সাহসিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তার জীবন গল্প শুধু প্রেরণাদায়ক নয়, তার আত্মপ্রত্যয় ও সাহস তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।