খালেদ মুহিউদ্দীন বাংলাদেশী সাংবাদিক এবং উপস্থাপক

Khaled Muhiuddin Biography and Details in Bangla

খালেদ মুহিউদ্দীন একজন বাংলাদেশী সাংবাদিক, লেখক, ঔপন্যাসিক, উপস্থাপক এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্ব। তিনি বর্তমানে জার্মানির ভিত্তিক মিডিয়া ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগের প্রধান।

Khaled Muhiuddin Biography and Details in Bangla

খালেদ মুহিউদ্দীনের জীবনী বিস্তারিত  
আসল নাম খালেদ মুহিউদ্দীন
ডাকনাম খালেদ
পেশা সাংবাদিক, লেখক, ঔপন্যাসিক, উপস্থাপক এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্ব
বয়স ৫০ বছর (২০২৪)
জন্ম তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪
জন্মস্থান ঢাকা
জাতীয়তা বাংলাদেশী

নিরপেক্ষ ও নির্ভীক বলে পরিচিত সাংবাদিক খালেদ মহিউদ্দিন এদেশের একজন প্রতিষ্ঠিত সাংবাদিক। বর্তমানে তিনি দেশের সীমানা পেরিয়ে প্রবাসে ও দাপটের সাথে সাংবাদিকতা করছেন। তবে অনেকে যেটি জানেন না, তা হল খালেদ মহিউদ্দিন একজন লেখকও। সাংবাদিকতা নিয়ে তার লেখা বই পড়ানো হয় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। ডয়েচে ভেলেতে সম্প্রচারিত খালেদ মহিউদ্দিন জানতে চায় টকশো অনুষ্ঠানটি ইতিমধ্যেই দর্শক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

Khaled Muhiuddin
Khaled Muhiuddin
শারীরিক অবস্থা  
উচ্চতা ৫ ফিট ৭ ইঞ্চি
ওজন ৬৭ কেজি
চোখের রঙ কালো
চুলের রঙ কালো

কর্মজীবনের শুরুতেই খালেদ মহিউদ্দিন যোগ দেন বাংলাদেশের শীর্ষ জাতীয় দৈনিক পত্রিকা প্রথম আলোতে। তিনি দৈনিক প্রথম আলোর নগর পাতার সম্পাদক এবং পত্রিকাটির সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে আইন আদালত খনিজ সম্পদ বিষয়ে প্রতিবেদন করতেন। এছাড়াও প্রথম আলোর ঢাকায় থাকি পাতার পরিকল্পনা ও সম্পাদনায় নিযুক্ত ছিলেন তিনি। খালেদ মহিউদ্দিন কিছুকাল বেসরকারি অনলাইন সংবাদপত্র bdnews২৪.com এ বার্তা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

Khaled Muhiuddin with his wife
Khaled Muhiuddin with his wife
গার্লফ্রেন্ড এবং বৈবাহিক অবস্থা  
বৈবাহিক অবস্থা বিবাহিত
স্ত্রী ফারহানা শাওন
কন্যা শব্দিতা

সাংবাদিকতা দিয়ে তার পেশা শুরু হলেও খালেদ মহিউদ্দিন কয়েক মাস বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশনের বিসিএস পরীক্ষায় সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে খালেদ মহিউদ্দিন সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত ছিলেন মাত্র ১০০ দিন। কিন্তু সাংবাদিকতা ও লেখালেখির প্রতি প্রবল ভালোবাসার কারণে সরকারি চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে আবার ফিরে আসেন সাংবাদিকতায়।

Khaled Muhiuddin with his wife and daughter
Khaled Muhiuddin with his wife and daughter
পিতামাতা এবং পরিবার  
পিতা নাম প্রকাশ করেননি
মা নাম প্রকাশ করেননি

খালেদ মহিউদ্দিন দু হাজার এগারো সালে যোগ দেন Independent টেলিভিশনে।সেখানে সাত বছর তিনি নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এই চ্যানেলেরই জনপ্রিয় টকশ আজকের বাংলাদেশের উপস্থাপনা করেছেন খালেদ মহিউদ্দিন। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নির্ভীক সাংবাদিক হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান খালেদ মহিউদ্দিন। ২০০৮ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বিশ্ব ব্যাংকের পরামর্শক ছিলেন খালেদ মহিউদ্দিন। সাংবাদিকতা ছাড়াও খালেদ মহিউদ্দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে খন্ডকালীন শিক্ষকতা করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি।

অর্থ ও সম্পদ  
নেট ওয়ার্থ  ১০ কোটি টাকা (আনুমানিক)

সাংবাদিকতার পাশাপাশি যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ক বই লেখা সহ সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় তার পদচারণা রয়েছে। খালেদ মহিউদ্দিনের প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা নয়টি। এর মধ্যে অধ্যাপক এ এসএম আসাদুজ্জামানের সাথে যৌথভাবে লেখা যোগাযোগের ধারণা ও যোগাযোগের তথ্য শিরোনামের দুটি বই রয়েছে যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যবই হিসেবে পড়ানো হয়।

শিক্ষা  
শিক্ষাগত যোগ্যতা সাংবাদিকতা বিভাগে স্নাতক স্নাতকোত্তর
কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, এসওএস হারম্যান মেইনার কলেজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই সাংবাদিকতার উপর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন খালেদ মহিউদ্দিন। এরপর খালেদ মহিউদ্দিন পারি জমান যুক্তরাজ্যে। সেখানে ওয়েস্টমিনস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন খালেদ মহিউদ্দিন।

ইউটিউব বিস্তারিত  
ইউটিউব চ্যানেল DW খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়
ভিডিও ১৯৩ টি
সাবস্ক্রাইবার ১.২ মিলিয়ন
চ্যানেল এর বয়স ৫ বছর

ব্যক্তিগত জীবনে খালেদ মহিউদ্দিন ২০০১ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি আইএফসি ব্যাংক কর্মকর্তা ফারহানা শাওনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এই দম্পতি রয়েছে একটি কন্যা সন্তান। বর্তমানে তিনি সপরিবারে জার্মানিতে অবস্থান করছেন। অকুতোভয় ও নির্ভীক সাংবাদিকতার জন্য খালেদ মহিউদ্দিন নিজেকে নিয়ে গেছেন অন্য উচ্চতায়।

সোশ্যাল মিডিয়া Links
ফেসবুক Facebook.com

খালেদ মহিউদ্দিন জানতে চায় অনুষ্ঠানে তার প্রশ্নবাণ জর্জরিত হতে হয় দেশের সোনামধন্য রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী ব্যক্তিবর্গদের। সময়ের সাথে সাথে সাংবাদিক পেশার মানুষদের জন্য খালেদ মহিউদ্দিন নিজেকে নিয়ে গেছেন তাদের অনুপ্রেরণের জায়গায়।

Scroll to Top